Jonayed Hossain

dollar, money, cash-1362244.jpg

টাকা/মুদ্রা কীভাবে এলো..

টাকা/মুদ্রা কীভাবে এলো.. (রিজার্ভ নিয়ে একটা লেখা লিখছি, এটা আগে পড়ে ফেলুন)

মুদ্রা বা টাকা কী?

– মুদ্রা হলো বিনিময়ের মাধ্যম। (Money is what money does./মুদ্রা যা করে তা ই মুদ্রা)

এর অর্থ হলো মুদ্রার কাজ বিনিময়ে সহযোগিতা করা।

একটা উদাহরণ দিই- মনে করেন দুই তিন হাজার লোক একটা দূর দ্বীপে আটকা পড়েছে। আসার কোন পথ নেই। নিরুপায় হয়ে, সেখানে বসবাস শুরু করেছে। তো এই লোকগুলোর একটা সমাজ হবে। এদের একেকজন একেকটা কাজে পারদর্শী। কেউ মাছ ধরবে, কেউ স্কুল চালাবে, কেউ গরু পালবে। মাছ ধরা ব্যক্তি, মাছের বিনিময়ে অন্য কিছু পেতে চাইবে, বা পরের জন্য সঞ্চয় করতে চাইবে, গরুর দুধ বিক্রি করে গরুর মালিক মাছ কিনতে চাইবে, এরকম সবাই বিনিময় করতে চাইবে।

ওখানে কোন টাকা নাই। ওরা একটা ছোট্ট ঘর বানিয়ে নাম দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক কতগুলো পাথর সংগ্রহ করে সেগুলোতে নম্বর দিল। পাথরগুলো মুদ্রা বা টাকা। এরপর সবাইকে বললো তোমাদের কাছে থাকা সোনা/রূপার বা মূল্যবান কিছু জমা রেখে নাম্বার দেওয়া পাথর মুদ্রা নিয়ে যাও। (আবার যখনই তোমাদের দরকার হবে পাথর আমরা ফেরত নিব- ইহার বাহককে ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবে 🙂)

তো সাধারণ মানুষ পাথর নিল এবং নিজেদের মধ্যে পাথরের মূল্যমান অনুযায়ী লেনদেন করতে শুরু করলো। মাছ বিক্রি করে মাছ বিক্রেতা পেলো ২০০ পাথর মুদ্রা। তা থেকে সে ২০ পাথর মুদ্রার তেল, লবণ কিনলো বাকি ১৮০ পাথর মুদ্রা আপাতত সঞ্চয় করলো। এভাবে সবাই পাথর মুদ্রা দিয়ে বিনিময় বা লেনদেন শুরু করলো।

এরপর দ্বীপদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাগজ ও ছাপার মেশিন সংগ্রহ করে পাথরের বদলে কাগজের টাকা ছাপানো শুরু করলো। পাথর মুদ্রা উঠিয়ে ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকার নোট ছাড়লো। দ্বীপদেশের জনগণ এখন এসব নোট দিয়ে নিজেদের মধ্যে লেনদেন করছে।

তাহলে বুঝেছেন,মুদ্রা বা টাকা আসলে কী? কীভাবে আসে বা কীভাবে কাজ করে..

মুদ্রা বা টাকা হলো বিনিময় মাধ্যম। আমরা ছোটবেলায় ম্যাচের প্যাকেট দিয়ে খেলতাম। ঐটাও এক ধরণের মুদ্রা বা বিনিময় মাধ্যম ছিল।

রিজার্ভ নিয়ে লেখার আগে এই লেখাটি দিলাম যাতে ঐ টপিকটা সহজে বুঝাতে পারি। পরবর্তী লেখায় লিখবো রিজার্ভ কী, কীভাবে মেইনটেইন করা হয়, রিজার্ভ হিসেবে ডলার ছাড়াও কী কী রাখা হয়, রিজার্ভ কোথায় রাখা হয়, রিজার্ভ কতটুকু পর্যন্ত নিরাপদ এসব নিয়ে। অপেক্ষায় থাকুন…

হ্যাপি লার্নিং 🙂

Share this Article:

Facebook
Twitter
LinkedIn