Jonayed Hossain

satellite, spacecraft, space-67718.jpg

স্যাটেলাইট কী? আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন কী?

স্যাটেলাইট ও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন..

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার টানাপোড়েন এ ‘আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন’ নতুন করে আলোচনায় এসেছে। রাশিয়া বলছে যুক্তরাষ্ট্র অসহযোগিতা করলে এর রক্ষণাবেক্ষণ এ সমস্যা হতে পারে, ফলে এটি আমেরিকা বা ইউরোপের উপর আছড়ে পড়তে পারে!! জিনিসটা আসলে কী?

চলেন মোটামুটি সহজভাবে জেনে ফেলি 🙂

স্যাটেলাইট এর বাংলা হলো উপগ্রহ। চাঁদ একটা স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ। চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে এজন্য চাঁদ হলো পৃথিবীর উপগ্রহ। চাঁদ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে এজন্য চাঁদ হলো পৃথিবীর প্রাকৃতিক উপগ্রহ বা প্রাকৃতিক স্যাটেলাইট।

মানুষ নিজেও স্যাটেলাইট বানাতে পারে (বাংলাদেশের আছে 🙂, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১)। এগুলো হলো কৃত্রিম স্যাটেলাইট। বর্তমানে বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার কৃত্রিম স্যাটেলাইট আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে (যুক্তরাষ্ট্রের ৪২০০ এর মতো, রাশিয়ার ১৫০০+, চায়নার ৫০০+) । এমনকি ধনী লোকদের নিজস্ব স্যাটেলাইটও আছে অহরহ! 🙂

এগুলোর কাজ কী?
এগুলোর কাজ মূলত সিগনাল গ্রহণ ও প্রেরণ। যোগাযোগ, সামরিক, প্রতিরক্ষা ও গবেষণার কাজ এ এসব স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনেট কমিউনিকেশন, টেলিভিশন সিগনাল, রেডিও সিগন্যাল সবই এখন স্যাটেলাটের মাধ্যমে বিনিময় হচ্ছে।

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের ছবি পর্যবেক্ষণ করছে বিভিন্ন দেশ যেগুলো প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত হচ্ছে। পৃথিবী ছাড়াও মহাবিশ্বের বিভিন্ন নক্ষত্র, গ্রহ-উপগ্রহ পর্যবেক্ষণেও স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়। এগুলো নিয়ে অনেক বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার, কিন্তু লেখাটা খুব বড় করবো না।

শিরোনামে লিখেছি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কথা, এটা দিয়ে শেষ করি..

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন একটা বড় স্যাটেলাইট। ছবিতে দেখছেন। ইউটিউবে গিয়ে এটা এখনই লাইভ দেখতে পারেন। ISS- International Space Station লিখে সার্চ দিলেই হবে।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপ, জাপান ও কানাডার যৌথ একটি স্যাটেলাইট। এটি দৈনিক ১৫ বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।

১৯৯৮ সালে এটি মহাকাশে পাঠানো হয়। ২০০০ সাল থেকে এখানে নভোচারীরা বসবাস করা শুরু করে। এতে সবসময় ৫-৬ জন নভোচারী থাকেন। সাধারণত একজন নভোচারী ৪-৬ মাস স্টেশনটিতে অবস্থান করেন।

এটা থেকে পৃথিবী পর্যবেক্ষণ, আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কে গবেষণা এবং অন্যান্য জটিল গবেষণা করা হয়। এই স্যাটেলাইটটির ভর ৪,৪৪,৬১৫ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ৭৩মি, প্রস্থ ১০৯ মি।

হ্যাপি লার্নিং 🙂

-Jonayed Hossain

Share this Article:

Facebook
Twitter
LinkedIn