৪৬ তম বিসিএস এর সার্কুলার হবে শীঘ্রই…
এখন বিসিএস এর সার্কুলারে ক্যাডারের পাশাপাশি নন ক্যাডার পদের সার্কুলার দেওয়া হয়।
চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের সময় ক্যাডার এবং নন ক্যাডার পদের পছন্দক্রম বাছাই করতে হবে।
Follow me on Facebook-
আবেদনের সময় করণীয়-
বিসিএসসহ চাকরির আবেদন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে সামান্য ভুলের কারণে কেউ কেউ চাকরি থেকে বঞ্চিতও হয়।
এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স ও মাস্টার্স সার্টিফিকেট; পাসপোর্ট সাইজের ছবি, স্বাক্ষরের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি নিয়ে আবেদন করতে বসবেন।
চেষ্টা করবেন নিজেই আবেদন ফর্ম পূরণ করতে। আবেদনপত্র পূরণের আগে সার্কুলারটি ভালোভাবে পড়ে নিবেন।
এরপর ক্যাডারগুলোর সুবিধা -অসুবিধা, নিজের আগ্রহ এবং পরিবারের কথা মাথায় রেখে পছন্দের একটা ক্রম আগেই নোট করে নিবেন।
আবেদনের সময় সতর্কতার সহিত নির্ভুলভাবে সকল তথ্য দিবেন। নন ক্যাডারেরও একটা ক্রম আগেই ঠিক করে নিবেন।
বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি
বিসিএস পরীক্ষার মূল পরীক্ষা তিন ধাপে হয়। বিসিএস প্রিলিমিনারি ২০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে এরপর ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং শেষে ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কোন পাস নম্বর নেই। সাধারণত শূন্য পদের ৭-১০ গুণ প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়।
লিখিত পরীক্ষার পাস নম্বর শতকরা ৫০ ভাগ নম্বর। ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৪৫০ পেলেই লিখিত পাস করবেন।
মৌখিক পরীক্ষায়ও পাস নম্বর শতকরা ৫০ ভাগ নম্বর। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর যোগ করে মেধাক্রম তৈরি করা হয় এবং পছন্দক্রম অনুযায়ী ক্যাডার এবং পরে নন ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।
পরীক্ষার প্রস্তুতি
বিসিএস পরীক্ষার যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া খুব জরুরী। দেশের সকল প্রতিষ্ঠানের এমনকি বিদেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থীরাও এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
শীর্ষ মেধাবীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাওয়ার জন্য সঠিক নিয়মে প্রস্তুতি নেওয়ার বিকল্প নেই।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর ২০০ এর মধ্যে
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ৩৫ নম্বর,
- ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩৫ নম্বর,
- বাংলাদেশ বিষয়াবলী ৩০ নম্বর,
- আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ২০ নম্বর,
- ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ১০ নম্বর,
- সাধারণ বিজ্ঞান ১৫ নম্বর,
- কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি ১৫,
- গাণিতিক যুক্তি ১৫,
- মানসিক দক্ষতা ১৫,
- নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন ১০ নম্বর।
একজন চাকরিপ্রার্থীর প্রথম কাজ হবে সিলেবাসটা ভালোভাবে পড়া। এরপর বিসিএস পরীক্ষায় কী ধরণের প্রশ্ন হয় তা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা জরুরি।
My Youtube Channel
বিসিএস পরীক্ষার বিগত সালের প্রশ্নগুলো সহজে পাওয়ার জন্য জব সলিউশন আছে বাজারে। সময় নিয়ে দেখে পড়তে ভালো লাগে এমন একটি জব সলিউশন বাছাই করতে হবে।
সেখানে বিগত সালের প্রশ্ন, ব্যাখ্যাসহ উত্তর আছে। সেগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
প্রথমে ৩৫ থেকে সর্বশেষ বিসিএস এবং পরে এর আগের বিসিএসগুলোর প্রশ্ন ও উত্তর পড়তে হবে ভালোভাবে।
এরপর বিষয়ভিত্তিক বই সংগ্রহ করতে হবে। বই কেনার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় সম্ভব হলে সিনিয়রদের সাথে টুকটাক আলাপ করে ধারণা নেওয়া এবং নিজে দোকানে গিয়ে একটু দেখেশুনে পড়ে এরপর কেনা।
এর কারণ হলো বই মোটামুটি সবগুলোই কাছাকাছি। একেকজনের কাছে একেকটা বই পড়তে ভালো লাগে।
যার যে বইটা পড়তে ভালো লাগে সে বইটা কিনতে হবে। বই কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে- বইয়ের তথ্য নির্ভুল কিনা, প্রিন্ট কেমন, উপস্থাপনা কেমন এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিস কম কিনা।
এসব বিষয় বিবেচনা করে কয়েকটা প্রকাশনি মিলিয়ে এক সেট বই সংগ্রহ করতে হবে। একসাথে অনেক বই কেনার চেয়ে ধীরে ধীরে বই কেনা ভালো।
বিসিএস এর সিলেবাসটা সব ব্যাকগ্রাউন্ড এর চাকরিপ্রার্থীদের কথা চিন্তা করে করা হয়েছে। এজন্য দেখা যায় সবারই কোন না কোন বিষয়ে দুর্বলতা আছে। দুর্বলতা নিয়ে অযথা টেনশন করার দরকার নেই।
কোন বিষয়ে কত সময় দিলে কত নম্বর আসতে পারে এটার একটা হিসাব করে পড়তে হবে। শুরুতে একটু কঠিন লাগতে পারে।
সাধারণ জ্ঞান মুখস্থ থাকবে না। মনে হবে পড়ছি আর ভুলে যাচ্ছি। এটা সবারই হয়। ধৈর্য নিয়ে বসে পড়ুন, একসময় সহজ লাগবে।
হাজার মাইলের পথ এক কদম থেকেই শুরু হয়। পড়তে থাকুন। বিসিএস এর পড়া ভুলে গেলেও লাভ।
দেখবেন পরীক্ষার হলে এগুলো টনিক এর মতো কাজ করছে। পড়া থাকলে ভুলে গেলেও সঠিক উত্তর করে আসতে পারবেন।
একেবারে পড়া না থাকলে উত্তর করা অসম্ভব।
পড়াশোনা করুন। নিজের শরীর ও মনের যত্ন নিন। চাকরির পরীক্ষা দিন। পাশাপাশি বিকল্পের কথাও মাঝে মাঝে ভাববেন।
সবার জন্য শুভকামনা।
– মোঃ জোনায়েদ হোসেন
বিসিএস তথ্য (৩৫তম বিসিএস), বিসিএস কর (৩৬তম বিসিএস), বিসিএস প্রশাসন (৩৭তম বিসিএস)