Jonayed Hossain

boy, man, people-3653385.jpg

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট

পরীক্ষার হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট এটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।

টাইম ম্যানেজমেন্ট এর ঘাটতির কারণে ৩০% ছেলেমেয়ে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পায় না।

কী করবেন, কী করবেন না..

১. পরীক্ষা কেন্দ্রে যথাসময়ে পৌঁছাবেন। কীভাবে যাবেন আগেই ঠিক করে রাখুন।

২. ঘড়ি নিতে দিবে না। পরীক্ষার হলে ঘড়ি থাকবে। সময় ঐ ঘড়িতে দেখতে পারবেন।

৩. প্রশ্ন ২০০ টা, সময় ১২০ মিনিট। প্রতি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ ৩৬ সেকেন্ড। মাথায় রাখবেন।

৪. গণিত আগে করবো বা ইংরেজি আগে করবো এরকম চিন্তা আমি করতাম না। প্রশ্নের এক থেকে উত্তর করা শুরু করতাম, শেষ পর্যন্ত চলে যেতাম। যখন যেটা আসে সেটা। যেটা পারতাম বৃত্ত ভরাট করতাম; যেটা পারতাম না সেই প্রশ্নে ছোট্ট একটা মার্ক করে রাখতাম।

কোন প্রশ্ন নিয়ে বাড়তি সময় নষ্ট করতাম না। পারলে উত্তর করতাম, না পারলে পরের প্রশ্ন। গণিতের ক্ষেত্রেও একই কথা, এক বার চেষ্টা করলে হলে উত্তর করতাম, নাহলে পরের প্রশ্নে চলে যেতাম।

৫. এভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেতে ১ ঘন্টা ২০-৩০ মিনিট লাগবে। এরপর গণিত এ চেষ্টা করবেন, অন্য প্রশ্নগুলোও দেখবেন।

৬. বার বার ঘড়ি দেখার দরকার নেই। ৩ নং পয়েন্ট এ যেভাবে বলেছি এভাবে উত্তর করলে সময় নষ্ট হবে না। টেনশনের কিছু নেই। ৩০ বার ঘড়ি দেখলে ১৫০ সেকেন্ড শেষ। কয়েকবার ঘড়ি দেখবেন।

৭. বৃত্ত ভরাট করার সময় অবশ্যই প্রশ্নের ক্রমিক নম্বর দেখবেন এবং মনে মনে পড়বেন। যেমন- ২৭ নম্বর প্রশ্নে উত্তর যেন ওএমআর এর ২৭ এই পড়ে। একটা ভুল হয়ে যেন ধারাবাহিকভাবে সব ভুল না হয়।

৮. প্রশ্নে রাফ করা যায়। অসুবিধা নেই।

৯. ভুল হলে ভরকে যাওয়ার দরকার নেই। সবারই দুএকটা জানা প্রশ্নে ভুল হয়।

১০. মাথা ঠান্ডা রাখুন। এটা একটা পরীক্ষা ই। ফেল করবে ৯৫ ভাগ প্রার্থী। সুতরাং এর মাধ্যমে সব শেষ hi হয়ে যাবে না।

১১. He can do, she can do, why you can’t?

সবার জন্য শুভকামনা 🙂

-মোঃ জোনায়েদ হোসেন

আপনাদের সহকর্মী

Share this Article:

Facebook
Twitter
LinkedIn