সূর্যগ্রহণ বা Solar Eclipse
সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ দুটি চমৎকার ঘটনা। পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে ঘুরে আর চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে ঘুরে।
এই ঘুরতে ঘুরতে যখন চাঁদ পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝে চলে আসে সেটাকে তখন সূর্যগ্রহণ বলে।
আমাদের সামনে থেকে সূর্যকে গ্রহণ বা ঢেকে দেয় চাঁদ (চাঁদ কাছে হওয়াতে ছোট হয়েও বড় সূর্যকে আংশিক বা সম্পূর্ণ ঢেকে দিতে পারে)
ছবিঃ সূর্যগ্রহণ
চন্দ্রগহণ কী?
আমরা জানি, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে, আবার চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরে।
এই ঘূর্ণনের সময় যখন চাঁদ পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝখানে চলে আসে তখন সূর্যগ্রহণ হয়(সূর্যকে চাঁদ পৃথিবী থেকে ঢেকে দেয়); আবার চাঁদ যখন পৃথিবীর যে পাশে সূর্য তার বিপরীত পাশে অবস্থান করে তখন চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। (ছবিগুলো দেখুন)
তার মানে, চন্দ্রগহণ বা Lunar Eclipse হয় যখন চাঁদ ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর যে পাশে সূর্য ঠিক এর উল্টো পাশে থাকে। অর্থ্যাৎ চাঁদ এবং সূর্যের মাঝখানে থাকে পৃথিবী।
এ অবস্থায় পৃথিবীর কারণে সূর্যের আলো চাঁদে যেতে পারে না। পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদে।
ছবিঃ চন্দ্রগহণ
কিন্তু একটা মজার বিষয় আছে। চন্দ্রগ্রহণের সময় যেহেতু সূর্যের আলো সরাসরি চাঁদে যায় না সেক্ষেত্রে তখন চাঁদ দেখা যাওয়ায় কথা না, তাইনা? অন্ধকার থাকার কথা।
কিন্তু না। চাঁদ চন্দ্রগ্রহণের সময় দেখা যায়। এর কারণ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল। পৃথিবীর কারণে সরাসরি আলো চাঁদে যেতে না পারলেও পৃথিবীর চারদিকের বায়ুমণ্ডলে সূর্যের আলোর প্রতিসরণ (কোন কিছুকে বেদ করে আলোর গমন, কিছু অংশ সোজাসুজি, কিছু অংশ বেঁকে যায়) ঘটে।
এই প্রতিসরিত আলো চাঁদে পড়ে। সেজন্য চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদে লাল আলো দেখা যায়। ঠিক যেমন, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় আকাশ দিগন্তের দিকে লাল দেখায়( এটাও বায়ুমণ্ডলের কারণে)।
প্রতি বছর কমপক্ষে দুই বার সূর্যগ্রহণ এবং দুইবার চন্দ্রগহণ বা মোট চারবার গ্রহণ হয়। পাঁচ, ছয় বা সাত বারও গ্রহণ হয়ে থাকে।
হ্যাপি লার্নিং
– Jonayed Hossain