hiring, recruitment, job interview-3531130.jpg

বিসিএস পরীক্ষায় পাশ-ফেলের হিসাব

বিসিএস পরীক্ষায় পাশ -ফেলের হিসাব খুব সহজ।

বিসিএস পরীক্ষা হলো তিন ধাপের পরীক্ষা। ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, ৯০০/১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং ২০০ নম্বরের ভাইভা পরীক্ষা।

এই ধাপগুলোতে পাশ ফেল কীভাবে নির্ধারণ করা হয় বা কীভাবে ক্যাডার বন্টন করা হয় সহজে জেনে নিন..

প্রিলিমিনারী:
এই পরীক্ষায় পাশ বা ফেল নেই। যতগুলো পদের জন্য সার্কুলার হয় তার সাত-নয়(৭-৯ ) গুণ লিখিত পরীক্ষায়অংশগ্রহণ করতে পারে। যেমন, ৪৪তম বিসিএস এ ১৭১০ টি পদের সার্কুলার হয়েছিল, প্রিলি কোয়ালিফাই করে ১৫৭০৮ জন (৯ গুণ)

https://www.facebook.com/jonayedhossain89

বিসিএস লিখিত পরীক্ষাঃ

লিখিত ৯০০ নম্বরের পরীক্ষা। টেকনিক্যাল ক্যাডারের জন্য অতিরিক্ত ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। টেকনিক্যাল ক্যাডার বিবেচনার সময় সাধারণ ৯০০ নম্বরের বাংলা ২য় পত্র ও বিজ্ঞানের ২০০ নম্বর বাদ দেওয়া হয়।

ঊদাহরণ ১ঃ শুধু জেনারেল ক্যাডার-

১। বাংলাদেশ বিষয়াবলী ২০০ নম্বর

২। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ১০০ নম্বর

৩। বাংলা ১ম ও ২য় পত্র ১০০ + ১০০ নম্বর

৪। ইংরেজী ২০০ নম্বর

৫। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা ৫০+৫০ নম্বর

৬। বিজ্ঞান ১০০ নম্বর

মোট ৯০০ নম্বর

উদাহরণ ২ঃ শুধু টেকনিক্যাল/শিক্ষা/অন্যান্য

১। বাংলাদেশ বিষয়াবলী ২০০ নম্বর

২। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ১০০ নম্বর

৩। বাংলা ১ম ১০০ নম্বর

৪। ইংরেজী ২০০ নম্বর

৫। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা ৫০+৫০ নম্বর

৬। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ২০০ নম্বর

মোট ৯০০ নম্বর

উদাহরণ ৩ঃ সাধারণ ও টেকনিক্যাল বোথ-

পরীক্ষা ১১০০ নম্বরের। হিসাবের ক্ষেত্রে সাধারণের সময় সাধারণের পরীক্ষাগুলো বিবেচনা করা হয়। টেকনিক্যালের সময় টেকনিক্যালের বিষয়গুলো।

৯০০ নম্বরের মধ্যে ৪৫০ পেলেই ভাইভা দিতে পারে। কোন বিষয়ে শূন্য পেয়েও মোট ৪৫০ হলেই লিখিত পাশ।

এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, কোন বিষয়ে ৩০% (১০০তে ৩০, ২০০তে ৬০, ৫০এ ১৫) এর কম পেলে এটি শূন্য হিসেবে যোগ হবে।

ইংরেজীতে ৬০ এর কম, বিজ্ঞানে ৩০ এর কম বা গণিত ও মানসিক দক্ষতা মিলিয়ে ৩০ এর কম পেলে উক্ত সাবজেক্ট এ মোট এর সাথে ০ যোগ করা হবে।

বিসিএস ভাইভা:

ভাইভা পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৫০% নম্বর। ২০০ এর মধ্যে ১০০ এর কম পেলে ফেল। ১০০ বা এর উপর পেলে পাশ।

যাঁরা পাশ করে তাদের থেকে মেরিটে(লিখিত+ভাইভা নম্বর) যাঁরা এগিয়ে থাকবে তাঁরা ক্যাডারের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হবে। বাকিরা নন-ক্যাডার লিস্ট এ থাকবে। পরবর্তীতে বিভিন্ন দপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী সেখান থেকে নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।

মোঃ জোনায়েদ হোসেন
বিসিএস তথ্য (৩৫) মেধাক্রম: ১ম
বিসিএস কর (৩৬) মেধাক্রম: ৩য়
বিসিএস প্রশাসন (৩৭) মেধাক্রম: ৫৮তম

ক্যাডার চয়েজ কীভেবে দিবেন…

https://jonayedhossain.com/careers/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%b8-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b8-bcs-cadre-choice/

Share this Article:

Facebook
Twitter
LinkedIn